কম্পিউটার হোক বা ল্যাপটপের কিবোর্ডে বন্ধুরা এমন অনেক ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট আছে যার সম্বন্ধে সম্ভবত আপনি খুব কমই জানেন।
যদি আপনি কিবোর্ড ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই খেয়াল করে দেখবেন আমরা কোন কিছু লেখার পরে এন্টার কি অনেক জোরে আঘাত করি। শুধু এটাই নয় আপনি কি বোর্ডের ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন কিবোর্ডে যেখানে F আর G keys থাকে ওখানে ছোট্ট একটি বিট দেওয়া থাকে।
তাছাড়া কি বোর্ডের সকল কি এত ছোট ছোট হয় কিন্তু স্পেস কি এত বড় কেন হয় এর পিছনে কারণ কি? তাছাড়া আপনার মনে এই প্রশ্নটাও কখনো না কখনো অবশ্যই এসেছে যে কিবোর্ডে এবিসিডি এমন সরল ভাবে আলফাবেটিক্যালি keys না হয়ে এমন উল্টোপাল্টা করে আলফাবেট গুলো সাজানো কেন? এমন অনেক প্রশ্ন আপনার মনে অবশ্যই এসেছে হবে। আর সেগুলোর বিষয়ে অবশ্যই আমার মনে হয় আপনাদের জানা উচিত ।
কিবোর্ডের যে কোয়ালিটি দেওয়া হয়েছে এটা হল QWERTYU এগুলো আলফাবেটিক্যালি তো আছে কিন্তু সাজানো নেই কেন? যদি সাজানো থাকতো তাহলে আমাদের টাইপিং করতে কত সহজ হত যেমন ABCDEFG।
কিবোর্ডের KEYS সাজানো নেই কেন?
তো এর উত্তর এটাই বন্ধুরা , যে আমাদের টাইপিং স্পিড কম করার জন্যই এই আলফাবেটিক্যাল keys গুলোকে উল্টোপাল্টা ভাবে সাজানো হয়েছে।
কারণ হিসেবে ছিল পুরনো সময়ের মেকানিক্যাল কিবোর্ড। ওই সময়ের কিবোর্ড গুলো আলফাবেটিক্যালি ABCDEFGH এর মতো সাজানো ছিল যার জন্য তখনকার টাইপরাইটার রা অনেক স্পিডে লিখতে পারতো যার কারণে এই মেকানিকাল কিবোর্ড গুলো জ্যাম হয়ে যেতো। ফলে পরবর্তীতে এই মেকানিক্যাল কিবোর্ড গুলোকে QWERTYU এই অনুসারে সাজানো হয়েছিল আর সেটা পরবর্তী পর্যন্ত যখন এই ইলেকট্রনিক কিবোর্ড চালু হয় তখন পর্যন্ত এই পরম্পরা টি থেকে যায়।
তো বন্ধুরা এটা এখন আমাদের জন্য একটি আফসোসের ব্যাপার যে, আমাদের টাইপিং স্পিড কম করার জন্যই এই পদ্ধতিটা আবিষ্কার করা হয়েছিল।
এর পরে আসে বন্ধুরা কিবোর্ড যে F আর J keys হয়ে থাকে তার উপর ছোট একটা বিট দেওয়া থাকে কেন?
F আর J keys উপর ছোট একটা বিট দেওয়া থাকে কেন?
তো বন্ধুরা আপনারা যদি কোন টাইপরাইটার দেখে থাকেন তাহলে খেয়াল করে দেখবেন যারা প্রফেশনাল টাইপরাইটার চায় তারা কখনো কিবোর্ডের দিকে তাকায় না তারা তাদের চোখ স্ক্রিনের উপর রাখে এবং স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই অনেক দ্রুত টাইপিং করতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে এর কারণটা এটাই ।আপনারা যদি কখনো টাইপিং শিখে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনাদের যে ইন্ডেক্স আঙ্গুল দুটি রয়েছে তাদের একটি F এর উপরে এবং অন্যটি J এর উপরে রাখতে বলা হয়। কারণ এখানে যদি আপনাদের এই আঙ্গুল দুটি রেখে টাইপিং করেন তাহলে আপনারা কিবোর্ডের অন্যান্য যে আলফাবেটিক্যালি keys গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি অন্যান্য আঙ্গুল দিয়ে সহজেই পৌছাতে পারবেন এবং আপনার টাইপিং স্পিড খুব দ্রুত হবে।
আমরা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে লিখতে লিখতে অনেক সময় আমাদের আঙ্গুল অন্যান্য জায়গায় সরে চলে যায়। সেজন্য আমাদের ওই দুটি আঙুল পুনরায় নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে আসার জন্য এই বিট দুটি দেয়া থাকে যাতে করে আমরা কিবোর্ড এর দিকে না তাকিয়েই পুনরায় ওই বিট এর সাহায্যে আমরা বুঝতে পারি আমাদের আঙ্গুল দুটি সেই নির্দিষ্ট জায়গায় চলে এসেছে। এই জন্যই এই দুটি কি এর উপরে এই বিট দুটি দেয়া থাকে।
উপরের প্রশ্নের মত আরেকটি প্রশ্নটা হল যে কিবোর্ডের অন্যান্য যে keys গুলো আছে সেগুলো এত ছোট ছোট হয় কিন্তু যে স্পেস keys আছে সেটা এত বড় কেন হয়?
কিবোর্ডের স্পেস keys এত বড় কেন হয়?
তো এই প্রশ্নের উত্তর টাও প্রফেশনাল টাইপিং এর ক্ষেত্রেই। যেমনটা আমি আপনাদের বললাম আপনার যে ইন্টেক্স আঙ্গুল আছে সেটা F আর G এর উপর থাকে যার কারণে আপনার অন্যান্য আঙ্গুল গুলো থাকে সেগুলো স্পেস keys পর্যন্ত পৌছাতে পারেনা।
এই স্পেস বার তাকে প্রেস করার জন্য আপনার যে আংগুল গুলো আছে সেগুলো উঠিয়ে তারপর আপনাকে এই keys টাকে প্রেস করতে হতো। এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য আমরা আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রয়োগ করি।
যদি আপনি কখনো টাইপিং শিখে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এটা নোটিশ করেছেন যে যদি আপনি বায় হাতের আঙ্গুল দিয়ে লাস্ট keys টাইপিং করেছেন তো , আপনি স্পেইসবার প্রেস করবার জন্যও কিন্তু বায় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রয়োগ করছেন। আবার যদি আপনি ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে লাস্ট কি টাইপিং করেছেন তো আপনি স্পেইসবার প্রেস করবার জন্যেও কিন্তু ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল প্রয়োগ করছেন এটা করা হয় আপনার টাইপিং স্পিড বাড়ানোর জন্য। আর সমস্ত প্রফেশনাল টাইপারই এটা করে থাকে।
এখন আমাদের দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলির যেহেতু অনেক দূরে দূরে থাকে এবং এক বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়েও টাইপিং করাটাও একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার যার কারণে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই স্পেস বারটা কে এত বড় করে তৈরি করেছে। যাতে করে আমরা আমাদের দুইটি বৃদ্ধাঙ্গুলই একসাথে ব্যবহার করতে পারি অন্য কোন সমস্যা ছাড়াই।
তো সোজা কোথায় এটাই হল যে আমরা যেন টাইপিং করার সময় কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হই । আমাদের টাইপিং করার সময় যেন আমাদের আংগুল না উঠাতে হয় আমরা যাতে দ্রুত টাইপিং করতে পারি এইজন্যই এই স্পেস বার টাকে এত বড় করে তৈরি করা হয়েছে।
পরবর্তী প্রশ্নটা হল আমরা যখন কোন কিছু টাইপিং করি, টাইপিং করার পর যে Enter Keys হয় এটা এত জোরে হার্ডলি কেন প্রেস করি?
কিবোর্ডের Enter Keys এত জোরে হার্ডলি কেন প্রেস করি?
সত্যি বলি তো বন্ধুরা এর পিছনের একচুয়াল যে কারণটা আছে সেটা হল আমরা এই ইন্টার কে Key টাকে তখনই প্রেস করি যখন আমাদের কোন টাস্ক কমপ্লিট হয়ে যায়। যেমনটা আমরা যদি কোন প্যারাগ্রাফ লিখে থাকি সেটি কমপ্লিট হওয়ার পর আমরা ইন্টার বাটন প্রেস করি। আমরা কোন কিছু সিলেক্ট করার পর তার একশন নেওয়ার জন্যও কিন্তু এন্টার কী প্রেস করি। মোটকথা এটা হল আমরা যখন কোন কিছু কমপ্লিট করি তারপরই এইটার ব্যবহার করি ।আমরা যখন কোন কাজ কমপ্লিট করি তখন আমাদের মনে একটা খুশি খুশি ভাব আসে , এটাই একটা কারণ। তাছাড়া যেমনটা আমি আপনাদের বললাম টাইপিং করার সময় সাধারণত আমাদের আঙ্গুলগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকে এবং আমাদের হাতটাকে সাধারণত বেশি উঠাতে হয় না। কিন্তু যখন আমরা এন্টার কী প্রেস করার প্রয়োজন হয় তখন আমাদের হাতটাকে উঠিয়ে নিয়ে তারপর এন্টার কি এর উপর প্রেস করতে হয় এবং আমাদের কাজটাও সম্পূর্ণ হয় ।এইজন্য আমরা সাধারণত আমরা খুশিতে অথবা বিরক্তের অবসান ঘটানোর জন্য এই ইন্টার কি টাকে অনেকে জোরে প্রেস করি। যাতে করে আমরা শুনতে পাই যে এটা শেষ হয়েছে এবং আমরা এটার শব্দ শুনেও কিন্তু অনেক টা সান্তনা পাই ।